December 22, 2024, 9:34 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের স্ত্রীর গলায় ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের কারনে আত্মহত্যা বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে। তবে ঐ নারীর পিতার পরিবারের দাবি তার উপর অত্যাচার করা হতো।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম জানান আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শহরের কমলাপুর এলাকার ঐ শিক্ষকের নিজ বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূর নাম নূরজাহান পারভীন (৪২)। তার স্বামী নজরুল ইসলাম কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। এ দম্পতির ১৩ বছরের এক মেয়ে ও ৪ বছরের এক ছেলে রয়েছে।
নজরুল ইসলামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ১৫ বছর আগে নূরজাহানের বিয়ে হয়।
বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল। তাদের মধ্যে প্রায় মারামারি হতো।
বিভিন্ন সময়ে কয়েকদফা দুজনেই মারামারি পরবর্তী হাসপাতালে টিকিৎসাও নিয়েছেন বলে বিশ^বিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
ওসি সাব্বিরুল আলম দম্পতির ১৩ বছর বয়সী মেয়ের উদ্বৃতি দিয়ে জানান রবিবার রাতে তদের মধ্যে বিবাদ হয়। এসময় নজরুল তার স্ত্রীকে ব্যাট দিয়ে হাতে ও পিঠে আঘাত করেন। সোমবারও সারাদিনে কয়েকদফা তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। নূরজাহান রাতে একাই একটি রুমে দরজা লাগিয়ে দিয়ে শুতে যায়। আজ সকালে ভেতর থেকে তোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানে নুরজাহানের ঝুলনন্ত লাশ দেখতে পাওয়া যায়।
পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশরাফুল ইসলাম জানান ময়নাতদন্তের পূর্ণ প্রতিবেদন পাওয়া যয়িনি। তবে শরীরে আঘাতের চিন্থ পাওয়া গেছে।
নূরজাহানের ভাই জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেছে তাকে প্রচন্ড মার দেয়া হয়। এরপর রাগে ক্ষোভে সে আত্মহত্যা করলেও করতে পারে। তিনি জানান তার পরিবার পুলিশে অবিযোগ করবে।
নজরুল ইসলাম বলেন ঝগড়া-বিবাদ তো চলেই আসছিল। সেও তো মাঝে মধ্যেই আমাকে আঘাত করে আসছিল। কিন্তু আত্মহত্যা করে বসাটা মানতে পারছেন না তিনি।
ওসি সাব্বিরুল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটা আত্মহত্যা। থানায় অভিযোগ দেওয়া হলে খতিয়ে দেখা হবে।
Leave a Reply